রেজিনা খাতুনের শরীরটা মোটেই ভাল নেই,হাঁপানির টান উঠলে তার শরীর থরথর করে কাঁপতে থাকে। তবে এই কাঁপুনি তার বেশ সয়ে গেছিল। তিরিক্ষি মেজাজে কিছুক্ষণ চিল্লাচিল্লি করে, ছেলে মেয়ের পিঠে দুই তিনটা বসায় দিলে শ্বাসকষ্ট কিছুটা কমে আসে।

আজকে তার ছেলের স্কুলে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ছিল।কোরআন তেলওয়াতে ছেলেটা সেকেন্ড প্রাইজ, আর কবিতা আবৃত্তিতে থার্ড প্রাইজ পাইছে। এই বাবদ দুইটা চিংড়ি মাছ আঁকা কাঁচের প্লেট আর একটা ফুল-লতাপাতা আঁকা সিরামিকের বাটি নিয়া আসছে তারা। ছেলেটা এসেই চিংড়ি আঁকা প্লেটটাতে ভাত খাচ্ছিল, রেজিনা খাতুনেরও মেজাজ ভাল থাকার উপলক্ষ্য ছিল। কিন্তু রাস্তার ধূলাবালিতে হাঁচি শুরু হইছিল, সেইটা চলতে থাকলে, ছেলে মেয়ে খুব সাবধানে চলতে থাকে। খাওয়া শেষে ছেলে নিজে প্লেট রান্নাঘরে রাখে। বাথরুমে যেয়ে বেশ শুনায় শুনায় কুলিও করে।

তার সংসারের থিকা সন্তানদের থিকা এমনকি তার আয়নায় দেখা প্রথম মুখায়বের থিকা বেশীদিন ধরে এই অসুখের সাথে তার পরিচয়। ব্যাপারটারে সে এতো কাব্য করে উপলব্ধি করে যে ‘অসুখের সাথে বসবাসের” মত শব্দবন্ধনীতে তার যাপিত জীবনকে সংজ্ঞায়িত করার কল্পনাশক্তির পরিচয় দিয়ে ফেলে। তার মেয়ে আর্টসে প্রথম হওয়ায় স্কুল থেকা দুইটা বই পাইছিল, একটার নাম “একশত শ্রেষ্ঠ মহামানবের জীবনী” তাতে মহানবী(সাঃ) এক নাম্বারে রইছেন। আর একটা বই আছে “ভালবাসার সাথে বসবাস”। রেজিনা খাতুন বইটা দেখেই সন্দেহ করছেন, তার মেয়ে পুরস্কারের বইটা কারো সাথে চেঞ্জ করে এই বইটা আনছে। একবার তার অন্য সন্দেহও হইছিল, ভাবছিল তার মেয়েরে বইটা হয়তো কোন ছেলে দিছে, ভেতরে চিঠিসহ। সে চাইলেই তার সন্দেহ থেকে নিষ্কৃতি পাইতে পারে, মেয়েরে জেরা করলে কিংবা মেয়ের স্কুলের বান্ধবীদের কথাচ্ছলে কথা বের কইরা নিতে ওস্তাদ সে। কিন্তু এই সন্দেহে হালকা আমোদ হয় , তার ফর্সা গালে লাল ছড়ায়। সে “ভালবাসার সাথে বসবাস” নামের বইটা পড়তে চায়, বইয়ের প্রচ্ছদটা তার অনেক পছন্দ, ছেলেমেয়ে দুইজন একটা ছাতার নিচে বসে আছে, কারোর মুখ দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু তার মনে হয় ছেলেটার নিশ্চিত গোঁফ আছে, বড় একটা তিল আছে কি? কিন্তু মহানবী(সাঃ) এর জীবনী থাকা বইটা না পড়ে এই বইটা পড়তে তার দ্বিধা হয়।

মেয়ের অঙ্ক বই হাতে নিলে একটু উত্তেজনা হয় তার । ভেতরে চলতি বাংলায় প্রশ্ন একটু পরিচিত লাগে, একটু আত্মবিশ্বাস আসে! সে মেট্রিকে দুই দুইবার এই অঙ্কেই ফেল করছিল। তার খুব ইচ্ছা হয় তার মেয়ে যখন মেট্রিক পরীক্ষায় বসবে, সেও পরীক্ষা দেবে তার সাথে। পাশাপাশি। তার কল্পনারে আরো জোরে ঠেলে, ভাবে মেয়ের অঙ্ক দেখে দেখে সে উত্তর মিলাচ্ছে । পরীক্ষায় গার্ড দেয়া মাস্টার তাদের দুইজনরে দেখে ভাবতেছে তারা যেন বোন। রেজিনা খাতুনের ভাল্লাগে।
মেয়ের নিউটেনের পরীক্ষার দিন হিসাব করতে করতে রেজিনা খাতুন গুলায় ফেলে, কেবল অঙ্কেই না হিসেবের যেকোন ব্যাপারেই তার গুলায় ফেলার দোষ আছে,আর এইটারে তারকোন রকম সীমাবদ্ধতা মনে না হইলেও, সংখ্যা বিষয়ক কোন তারতম্যে সে উদ্বিগ্ন হয়। এই যেমন তার ছেলেটার এই টার্মের অঙ্কের নম্বর ৮৮, গতবার যা ছিল ৯০। ৯০ আর ৮৮ পুরা একশো থিকা কাছাকাছি দূরের হইলেও, হাতের সুখ মিটায় ছেলেরে মারছে সে।

রেজিনার অসুস্থতা এমন প্রবল যে তার ছেলে মেয়ে এবং স্বামী- কেউই, তার মাঝে মাঝে এমন তুলকালাম করাতে কখনো বিরক্ত হয়না। রেজিনাও তার এই অধিকারের ব্যাপারে খুব সচেতন। তার এমন খিটমিট করা, বদরাগী স্বভাবরে কোন রকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে দেখলে সে খুব করে কাঁদে- তখন তার অভিযোগ শোনা যায় বিয়া নিয়া, আর বিয়ার দিন যে রিক্সায় কইরা ফেরার কর্দমাক্ত উঁচা-নিচা রাস্তায় তারে নামতে হইছিল, আর কাদায় গেঁথে গেছিল তার স্যান্ডেল, স্বামী গায়ের জোর দেখাইতে যায়া কাদার ভেতর থিকা স্যান্ডেল টাইনা তুলতে স্যান্ডেলের ফিতা ছিইরা ফেলছিল- সেই কথা কাইন্দা কাইন্দা শুনায়। আর বড় ভাইয়ের বেকুবি নিয়াও সে অনেক কিছু বলে। রেজিনার বিয়ার বছর খানেক আগের একটা ঘটনায় তার ভাইয়ের উপর এই বিরক্তির ব্যাপারটার শুরু।

রেজিনার বিয়া হইছিল ষোল-সতের বছর বয়সে। রেজিনা যেবার প্রথম মেট্রিক পরীক্ষা দিছিল- সেবার পরীক্ষাকেন্দ্রে আসা ম্যাজিস্ট্রেট তাকে নাকি পছন্দ করছিল, তাদের বাসায় বিয়ার প্রস্তাবও দিছিল। সম্ভবত প্রস্তাবটা ছিল খুব ঝোঁকের মাথায় , কিংবা ঐ ম্যাজিস্ট্রেটের বাড়ির খোঁজ খবর নিতে যায়া রেজিনার বড়ভাই আগের সংসারের খবর শুনছিল। তারপরেও যেহেতু জীবন মৃত্যু বিয়ে বিষয়গুলো আল্লাহর ইচ্ছা, উনার ইচ্ছা ছিল না বইলাই হয় নাই – রেজিনা এমনই বিশ্বাস করে। তাই এই নিয়া রেজিনার বিবেচনায় নেয়ার মত আফসোস কখনোই থাকেনা, কেবল তার একটুতেই বিরক্ত হওয়া স্বভাবের প্রতিবাদ করলেই তার দুঃখটা একটু নইড়াচইড়া বসে।

কিন্তু ঐ বয়সে তারে যে কারো ভাল লাগছে, সেইটা তাকে দারুণ পুলকিত করছিল। তারে যে ম্যাজিস্ট্রেট দেখেছে, কিন্তু সে যে ম্যাজিস্ট্রেটরে দেখে নাই! সে বাদে আর বাকি সবাই দেখছে, সফুরার খাতার দিকে নাকি অনেকক্ষণ চাইয়া ছিলেন। কেউ বলে গোঁফ আছে, কেউ বলে নাই। রেজিনার গোঁফই পছন্দ। কেউ বলে চশমা পইরা আসছিল, কেউ বলে চশমা পরা ছিলনা। রেজিনার চশমা না পরাটাই পছন্দ।
লোকটা দেখতে কেমন? সে সবটা ভাইবা নিতে পারে না! তার মেজাজ খারাপ লাগে। বালের! পরীক্ষার প্রশ্নগুলা তার মনোযোগরে এমন আতঙ্কে আটকায় রাখছিল যে সে পরীক্ষার হলে খাতার দিকে ছাড়া আর কোন দিকে তাকানোর সুযোগই কইরা উঠতে পারে নাই। এ জন্য তার মন খচখচ করছিল।
পরেরবার কিন্তু সে বেশ আগ্রহ নিয়াই আবার মেট্রিক পরীক্ষা দিতে যায়, এদিক ওদিক তাকায়, নাহ ম্যাজিস্ট্রেট আর আসেনা! ভূগোল পরীক্ষার দিন এক মোটামত মহিলা, একটুও ম্যাজিস্ট্রেটের মত দেখতে না, সে আসলে সবাই বলে “ম্যাজিস্ট্রেট আসছে”। ঐ মহিলা ঘুইরা ফিইরা রেজিনার কাছে আইসা বলে
“প্রশ্ন কমন পড়ে নাই? কানতেছ ক্যান?”
রেজিনা খাতুন মোটেই কানতেছিল না- তার কান্দার কী ঠেকা পড়ছে? বরং কাজল বানাইতে গিয়া তার হিসাবে এদিক সেদিক কিছু একটা ভুল হওয়ায় খানিক ছাইমত সূচালো কিছু কণাও থাইকা গেছিল, চোখে সেইটাই খচখচ ফুটতেছিল হয়তো।
ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য তার যেমন প্রতীক্ষা ছিল, আবার তার না আসায় তার স্বস্তিও হইছিল। আইসাও যদি সে না তাকাইত তার দিকে! তাইলে এমন অভিমানের ওয়াক্তে সে কিসের অভিযোগ জানাইতো? তীব্র শ্বাসকষ্ট তার বিবাহিত জীবনের আর সব অভিযোগরে জমাট বাঁধতে দেয় নাই।
রেজিনা খাতুনের বিয়া হইছে এক মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের সাথে। বিয়ার একবছর আগের ঘটনাটা ছাড়া, বিয়া নিয়া রেজিনার ভাবার অক্ষমতা ছিল, ভাবতে গেলেই একগাদা হিসাব। তার মগজে দমকে কেঁপে কেঁপে এক বিবর্ণ ধূসর অস্পষ্টতায় হিসাবের সূত্র হারায় ফেলে। তাই রেজিনার তাতে খুব অনাগ্রহ!
বরং এই লোকটা, তারে খুব আগ্রহ নিয়া বিয়া করছে। তার উপর লোকটার মোচ আছে। রেজিনা এতেই এই বিয়াতে এককথায় মত দিয়া দেয়।
স্বামীর তার প্রতি যত্ন- আত্মীয় পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যে একটা মিথ তৈরি করে। চাকরির প্রথম দিকে অসুস্থ বউয়ের জন্য তার সবসময় শহরে পোস্টিং নিতে টিতে হইছে, এখন ছেলেমেয়ে বড় হইছে বইলা সে বেশ ছোটাছুটি করে- আর একটা প্রমোশন হইলে, সেটা যখন তখন হইয়া যাইতে পারে, সে একটা গাড়ি পাবে, রেজিনা বাসায় কাজের লোক রাখতে দেয় না। এখন গাড়ি হইতেছে, কাজের মেয়ে দুই তিনজন রাখতে চাইলে রেজিনা ঠোঁট টিইপা হাসে, তার মনে হয় সে তার স্বামীরে এই চাপটা দিছিল বইলাই লোকটা সফল হইতেছে।

স্বামীর প্রতি রেজিনার একধরণের কৃতজ্ঞতাবোধ রইছে, যখন লোকটা খুব কম বেতন পাইতো তখনও রেজিনার চিকিৎসার কোন ত্রুটি সে রাখে নাই। তার পরিচিত কত ডাক্তারের কাছে নিয়া গেছে, তার ভীষণ অসুস্থ্যতার সময় কত রাত জাইগা পার করেছে। ডাক্তাররা বলতেন ধূলা ধোঁয়া থাইকা দূরে থাকতে। স্বামীর অনেক সাবধানতা অনুরোধের পরও সে কাজের লোক রাখে নাই। কাজের লোকের হাত খাবারে পড়লে তার ঘেন্না লাগে।
ঐ সময় সে মাঝে মাঝে স্বামীরে শুনাইতো ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে বিয়ে হলে সে যদি গাড়িতে ঘুরত, রান্নার কাজের জন্য চাইর পাঁচটা অ্যাপ্রন পরা পরিস্কার লোক থাকত- তাহলে হয়তো তার অসুখটা ছাড়ত। এইটা কেবল সে তার স্বামীরে তাতাইতে বলতো।

স্বামী ওষুধ কোম্পানিতে চাকরী করায় সে মুঠে মুঠে ওষুধ গেলার সুযোগ পায়। ডাক্তার তারে যেখানে একটা ওষুধ খাইতে বলেছে, সে সেইটা চাইর পাঁচটা খাইলো। হাঁপানির প্রবল টানে রেজিনার শারিরীক তীব্র যন্ত্রনা তার সমস্ত শরীর আর ত্বকরে কুঁচকায় ফেলে, কপালের চাইরপাশের শিরাগুলা টগবগ লাফাইতে থাকে। একগাদা হিস্টাসিন কিংবা পিরিটন, অথবা অ্যালাট্রোল গিলে চোখ বুঁজে রেজিনা ঐ ম্যাজিস্ট্রেটের কথা ভাবত, কল্পনার সমস্তটা উজার কইরা দিয়া। মাথা শূন্য ঠেকা সেই ঘোরে সে দেখত ম্যাজিস্ট্রেটের চেহারাটা অবিকল তার স্বামীর।

অসুস্থতার এই সময়টা ছাড়া কিন্তু রেজিনার যাপিত জীবন খুব একটা খারাপ না। তার মেয়ে, যে এবার টেনে উঠল, ছেলেটা, তাদের বাবা আর এই দোতলা বাড়িটা, কোনটা নিয়াই রেজিনার কোন আপত্তি নাই, ছেলেমেয়েরা স্কুলে গেলে রেজিনা ঘরে বসে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনায় উন্নতির কথা আন্তরিকভাবে চিন্তা করে, আরও ভাল টিউশন মাস্টার কোথায় পাওয়া যায় তা নিয়ে দুই একজনের সাথে কথা বলে, কোচিং এর খবর রাখেন, রান্না করে, ঘর গোছায়। ছেলেমেয়ের সাথে লুডু খেলতে বইসা তার ছক্কা ভাগ্যে ছেলে মেয়ে হিংসা আর সমীহ নিয়া তাকাইলে রেজিনার বেঁচে থাকাটা ১৪ আনা অর্থ ধরে। এই জীবনের বাইরের কোন জীবন থাইকা থাকলেও রেজিনার তাতে কিছু আসল গেলনা।
আজকে ছেলের স্কুল থেকে ফিরা আইসা, শ্বাসকষ্টে দিশাহারা, একগাদা ওষুধ গিলে ছেলের চিংড়ি আঁকা প্লেটে ভাত খাবার দৃশ্য, বাথরুমে কুলি করার শব্দ শোনার, আর মেয়ে ঘর গুছাচ্ছে তা দেখার অবসরে সে হঠাৎ খেয়াল করে,তার ছেলের হাতে পুরস্কার তুলে দিছিলেন জেলার ডিসি সাহেব, আচ্ছা লোকটারে তো দেখা হয় নাই! ঐ ম্যাজিস্ট্রেটটাই কি প্রমোশন পাইতে পাইতে ডিসি হইছেন এতোদিনে? এবার রেজিনা ম্যাজিস্ট্রেটের সে সময়ের বয়সের হিসাব করতে চায় সিরিয়াসলি, কিন্তু তার মাথা অক্সিজেনের অভাবে সব গুলায় ফেলে। চোখ শুকনা শুকনা লাগে। বাথরুমে যায় চোখে পানি দিতে, মেয়ের ভেজা পায়জামা ঝুলতে দেখে বিরক্ত হইয়া বলে “সব কাজ আমার জন্য রাখিস কেন”?
মেয়ে তখন ভাইয়ের সিরামিকের বাটি শোকেসে কোথায় রাখলে বান্ধবীদের দেখায় একটু ভাইয়ের কৃতিত্ব শোনান যাবে তা নিয়া দ্বিধায় ছিল। সে সাহেবী ঢঙে ঠোঁট গোল কইরা বলে “আম্মা, আমি তো নিজেই কাচি আমার কাপড়, তুমি অযথাই চিল্লাও, ডিসগাস্টিং
মেয়ের চোখেমুখে বিরক্তির সাথে “ডিসগাস্টিং” শব্দটা দারুণ মানায় যায়। এবার রেজিনা তার রাগ করার অধিকার আক্রান্ত হইতে দেইখা চিৎকার জুইড়া দেয় “তোদের জন্য এত কষ্ট করি, এতো বড়মেয়ে, বাড়ির কোন কাজ করিস না, আবার ইংলিশ মারাইস, এই শুয়োরেরবাচ্চা………” তার শ্বাসকষ্টে উচ্চারণ হোঁচট খাইতে থাকে, অস্পষ্ট এবং ক্রমশ অস্ফুট হয়।
তার আজকের অসুস্থতা বাড়াবাড়ি রকমের, সে আধো তন্দ্রায় যখন চোখ খোলে,তার মেয়েরে দেখে ভেজা চোখ দেখতে পায়, কোয়েশ্চেন কমন পরে নাই নাকি কাজল বানাইতে কিছু এদিক ওদিক করছে?

সে চোখ বুজে আবার দেখতে পায় ঐ পরীক্ষাকেন্দ্র, তার স্বামীর অবয়বের ম্যাজিস্ট্রেট কী অসভ্যের মত ড্যাবড্যাব কইরা তাকায় আছে। তার বোন মনে কইরা তার মেয়েরে জিজ্ঞাসা করতেছে, “তোমরা দুইবোন? তোমার ঐ বোন রাগ করছে নাকি? কিছুই যে লেখতেছে না” আর রেজিনা বেশ বিরক্ত হইয়া বলল “ডিসগাস্টিং”- রেজিনার ঠোঁট এই উচ্চারণে কিছুটা স্বস্তি পায়,ফুসফুসটা বাতাসের স্পর্শে চনমন করে!