জাতির পিতা ফাউন্ডিং ফাদার্সের একটা কল্পনাশক্তিহীন রূপান্তর। পিতা আর ফাদার একই মাহাত্ম্য রাখে না। পাকিস্তান কিংবা ভারত ফাউন্ডিং ফাদার্স কনসেপ্টে যাইতে পারত—কিন্তু ঐ যে ফাদারকে জন্মদাতা ভাইবা বসা এটা সবাইরে একক পিতৃত্বে বাইন্ধা ফেলছে।

ফাউন্ডিং ফাদার্সের স্টেট সেন্সে আর একটা স্ট্রং এক্সাম্পল হচ্ছে খুলাফায়ে রাশিদীন। এনাদের মধ্যে আদর্শিক টানপোড়েন থাকলেও একযোগে উচ্চারিত হয়ে গেছেন—পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ন্যারেটিভের কারণে।

নো ওয়ান্ডার—ইংরেজদের হাত থেকে গোলটেবিলে দেশ হস্তান্তর হবার পর, এই স্বাধীনতা একটা পেপারওয়ার্কের খপ্পরে পড়ছে। ব্যুরোক্রেসি নিজেদের কাবিলিয়াত জাহির করার জন্য স্বধীনতা দিবস টিবস বানায় একাকার, যেহেতু মার্কিন স্টেট এটা করছিল। মার্কিনীরা করছিল যে নেসেসিটি থেকে, সাব কন্টিনেন্ট করছে রিচুয়াল থেকে।

পাকিস্তানে বাবায়ে কওম শব্দটা বিতর্কের তৈরি করতে পারত—কিন্তু ওরা সেটারে কায়েদে আজম বললেও সেটা জাতির পিতার সমার্থক হইছে, গান্ধীরে সুভাষ বোস এইটা সম্বোধন করছিলেন—কিন্তু ভারত তার সংবিধান তৈরিকালীন সময় আম্বেদকারকে যশ দিয়ে টু সাম এক্সেন্ট ভারতের ভেতরে ফাউন্ডিং ফাদার্সের একটা ঘটনা ঘটছে। সেটাও সম্ভবত নেহেরুর কাল্ট হবার মত অ্যাট্রিবিউট তাঁর সমসাময়িক নেতাদের তুলনায় কম থাকায়।

এই যে পার্সোনাল ক্যারিশমায় সমসাময়িকদের চেয়ে কম হওয়ায় সোহরায়ার্দী এবং নেহেরু বেটার স্টেটসম্যান হবার সম্ভাবনা রাখছিলেন। একে ফজলুল হকের ক্যারিশমা কিংবা নাটকীয়তা, শেখ মুজিবর রহমানের ভেতরে ছিল। এটা পাওয়ারফুল কিন্তু এই ক্যারিশমা আলস্য তৈরি করে।

এটা যুদ্ধ পরবর্তীকালীন, শেখ মুজিবর রহমানকে যে বর্ণনায় বর্ণিত করা হইছিল—সেটা সেই সময়ে মুখ থুবড়ায় পড়ছিল। আপনারা বদরুদ্দিন উমরকে দেখবেন—উনার মত তাত্ত্বিকও শেখ মুজিবর রহমানের যে বিশালতা তৈরি হইছে সেটার আরোপে এতই বিরক্ত যে উনি এটারে সবসময় পার্সোনালি নিছিলেন। পিয়াস করিমরে একবার আমি এই অবজারভেশন জানাইলে উনি বলছিলেন—কী বলো, আমার নানী মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই বিষয়ে বিরক্ত হইতেন—যেই মুজিব রাতদুপুরে তাঁর বাসায় আইসা “ভাবী ভাত দেন”—সে নাকি জাতির পিতা!

উনি উমরকে এবং নানীকে তাদের এলিটভাবনায় এক করলেও অন্য দ্যা আদার হ্যান্ড বইলা একটা গল্প বলছিলেন—তার আগে উমরকে একটু প্রশংসা কইরা নিছিলেন যদিও। ’৭২ সালের কোনো এক পাঠ্য বইয়ে—জিন্নাহকে নিয়ে থাকা পাকিস্তানী পাকিস্তানের পাঠ্য বইয়ে, জিন্নাহর জীবনীর একটা গল্প ছিল—যেখানে কিশোর জিন্নাহ এক গরীবকে নিজের গায়ের শাল দিছিল—তো মুজিবর রহমানকে এই গল্পের ক্যারেক্টার বানায় বাংলাদেশের পরিবেশ প্রকৃতি এবং পোশাকের সাথে গ্রন্থ প্রণেতারা শালের জায়গায় লুঙ্গি বানাইছিলেন—এবং কাউকে পরিহিত লুঙ্গি দিয়ে আসায় যে দৃশ্যকল্প আসে সেটা প্রকাশ হওয়া মাত্রই সেটা পুনর্মুদ্রণের জন্য যায়। শালকে গায়ের চাদর বানানো হয় লুঙ্গি থিকা।

অবশ্য শেখ মুজিবর রহমানের এই প্রশ্নাতীত ন্যারেশনে নিজেরে নিয়ে যাওয়া, নন-বায়োলজিক্যাল হবার ইচ্ছাটায় আমি উনার নিজের স্ট্রেংথের জায়গাটারে নিজে ডিজঔন করার ভুল দেখি।

গোল টেবিল রাজনীতিতে তিনি যে স্ট্রিট পাওয়ারকে ইউজ করতে পারছেন—সেটারে তিনি গর্ব মানেন নাই। সোহরায়ার্দীর উচ্চ বংশ, ফজলুল হকের মেধা, ভুট্টোর বিলেতি পড়ালেখায় শেখ মুজিবর রহমানের কিছুটা হীনম্মন্যতা থাকলেও থাকতে পারে। যেমন অলি আহাদের লেখায় সম্ভবত আমি দেখছিলাম মুজিবর রহমানের কোয়ালিশনকে কলিশন উচ্চারণ নিয়ে তিনি খোঁচা দিয়া লিখছিলেন।

আবুল মনসুর, মানিক মিয়া এনাদের সন্তানের প্রতি শেখ হাসিনাও বিরক্ত ছিলেন।

অথচ একটা স্বাধীন স্টেট যেই স্টেট থেকে বিচ্ছিন্ন হইলো—হুবহু তার কপি এই একই বুর‍্যোক্রেটিক কেরানিবৃত্তি—সে নিজেরে অহেতুক জরুরী বানাইতে যেয়ে এমন এক কাগুজে ধারাবাহিকতা তৈরি করে। অবিলম্বে ইলেকশনকে সে এফোর্ট না করে এই কপিপেস্ট পলিটিক্যাল এবং লিগ্যাল ন্যারেটিভে যায়। এটা যে কত ভয়াবহ সংকট তৈরি করতে যাচ্ছে সেটা উনারা বোঝেন নাই। উনারা স্টেটরে যেভাবে চালায় অভ্যস্ত সেটার বাইরে যাইতে চান নাই।

এই কন্টিনিউয়িটির বেসিস কী ছিল? ’৭০ সালের ইলেকশনের ফলাফল, নাকি যুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকার? শেখ মুজিবর রহমান প্রবাসী সরকারের ঘোষণাকে কম বরং ’৭০ এর ইলেকশনের ম্যান্ডেটকে তাঁর শাসন অথরিটির জন্য বেশি গুরুত্ব দিছিলেন।

এই অবিসংবাদিত অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা হয়তো শেখ মুজিবর রহমান টেকেন ফর গ্র্যান্টেড এবং আজীবন জনপ্রিয়তার সার্টিফিকেট হিসেবে ইম্পোজ করতে গেছিলেন—গোলটেবিলে রাজপথের পাওয়ার রেফার করা আর ক্ষমতায় যাবার পর গোলটেবিল অদৃশ্য করতে রাজপথকে খাঁ খাঁ করা রাজনীতিবিদদের আলস্য।

শেখ মুজিবর রহমান ক্ষমতার মনোপলি নিশ্চিত করতে যে মোরাল হাইগ্রাউন্ড হোল্ড করতে গেছিলেন তাঁর কন্যাও সেইটা ব্যবহার করছেন যথেচ্ছ ভাবে। মন্তই পাইথন অ্যান্ড হলই গ্রেইলে কিং আর্থার তাঁর অথরিটি জাস্টিফাই করার সিনটা আমার গত দশ বছরে বার বার রেফার করার মত করুণ কমেডি রিলিফ লাগত

King Arthur: I am your king.
Woman: Well, I didn’t vote for you.
King Arthur: You don’t vote for kings.
Woman: Well how’d you become king then?

King Arthur: The Lady of the Lake, her arm clad in the purest shimmering samite held aloft Excalibur from the bosom of the water, signifying by divine providence that I, Arthur, was to carry Excalibur. THAT is why I am your king.

Dennis: Listen, strange women lyin’ in ponds distributin’ swords is no basis for a system of government. Supreme executive power derives from a mandate from the masses, not from some farcical aquatic ceremony.